পেকুয়া,প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায় ১নং রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন চট্রগ্রাম ময়নামতি সার্ভে ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং তরুণ সমাজ সেবক তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন। ইতিমধ্যেই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাক্তিগত ইমেজ তৈরি করে তুলেছেন তিনি। নির্বাচনী মাঠে তরুণ প্রার্থী হিসাবে সাড়া জাগানো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি।
তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন রাজাখালী ইউনিয়নের আমিলা পাড়া গ্রামের মাষ্টার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান ও পেকুয়া উপজেলা আ.লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক ও এলাকার সম্মানিত ব্যাক্তিত্ব প্রয়াত মরহুম মাষ্টার আজমগীর চৌধুরীর ভাতিজা। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন।
নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এখানের সম্ভাব্য প্রার্থীরা খেলাধুলা ও সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোতে অংশগ্রহণ, পোস্টার-ব্যানার ও নিজেদের ছবিসংবলিত নতুন বছরের ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে ভোটারদের মাঝে বিলি করছেন। পাশাপাশি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড, স্থানীয় পর্যাযের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ গ্রহন করা সহ নিজেদের পক্ষে ভোটারদেরকে কাছে টানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও কৌশলী হয়ে নিরবে দিন–রাত প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের চায়ের দোকান গুলোতে সকাল-সন্ধ্যার আড্ডায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে তর্ক ও বিতর্কে বিশ্লেষণ করছেন সাধারন ভোটররা।
প্রার্থীদের কেউ কেউ উন্নয়নের নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের এসব তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করছেন ভোটাররা। তাঁদের প্রত্যাশা, যতই প্রার্থীদের চাপ থাকুক না কেন, সৎ, যোগ্য ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে ব্যালেট বিপ্লবের মাধ্যমে সমর্থন দেবেন জনগণ।
স্থানীয় রাজাখালী সবুজ বাজারে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত একাধিক সাধারণ মানুষ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এখনো ইউপি নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকলেও অনেক প্রার্থীরা বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন তার মধ্যে অন্যতম হল তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন। তিনি প্রত্যেক জানাজা, তাফসীরুল কোরআন মাহফিল ও বিভিন্ন সমাজিক সংগঠনের প্রোগ্রামে অংশ গ্রহন করেন এবং অগ্নিকান্ড সহ যেকোন ধরণের দুর্ঘটনা হলে এলাকার মানুষের কাছে ছুটে চলেন, যদি সুন্দর সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নিবার্চন অনুষ্টিত হয় তাহলে এখানে অব্যশই যোগ্য, সৎ ও অবিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং যারা সব সময় অসহায় গরিব সাধারন জনগনের বিপদে-পাশে থাকবে তাদেরকেই নির্বাচিত করবে ভোটাররা। তবে তাদের মতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখানে নতুন মুখ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন বিজয়ী হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে তৃণমুল পর্যায়ের ভোটারদের মাঝে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন বলেন, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে রাজাখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এখনো স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। শিক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থায় রয়েছে অনেকটা পিছিয়ে। বিভিন্ন গ্রামে বিদ্যুৎ সমস্যা রয়েছে এখনো। বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ জনগনের ভোটে নির্বাচিত একাধিক চেয়ারম্যনগন তাদের অদক্ষতা ও অযোগ্যতার কারনে জনগনের দৌড়গোড়ায় কাঙ্খিত সেবা পৌঁছে দিতে ব্যর্থতার প্রমান দিয়েছেন। জনগনের ভোটে নির্বাচিত সেই সব চেয়ারম্যনদের অদক্ষতা এবং ব্যর্থতার কারনেই এখন পর্যন্ত উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটা অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত রয়েছেন আমাদের রাজাখালী ইউনিয়নের কয়েক হাজার সাধারণ জনগন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেইসব অদক্ষ ব্যাক্তিদেরকে ইউনিয়নের সচেতন জনগন তাদের প্রতিনিধি হিসেব আর দেখতে চাই না। এখানে সকল পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে দক্ষ ও তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন।
ইউনিয়নের মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। আগামী নির্বাচনে ইউনিয়নের সাধারণ সচেতন নাগরিকগণ একজন শিক্ষিত, দক্ষতাসম্পন্ন, যোগ্য ও সৎ ব্যাক্তিকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সুজন বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। জনবিচ্ছিন্ন নয়, এখানের সকল শ্রেণী পেশার সাধারণ মানুষের দোয়া ও আন্তরিক ভালবাসা এবং তাদের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একজন জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগনের ন্যায্য অধিকার তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এলাকার সাধারন জনগন তাদের পবিত্র আমানত মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে, জনগনের সেবক হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে সক্ষম হবো বলে আমি আশাবাদী। নির্বাচিত হলে সাধারন জনগনের গুরুদায়িত্ব সতা ও নিষ্ঠার সাথে পালনের মাধ্যমে অসহায় গরিব মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।