আরফাত চৌধুরী: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে স্থানীয়দের মাঝে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের অর্থায়নে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
মঙ্গলবার(১০আগস্ট) সকাল ১১টায় ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশনে রোহিঙ্গাদের টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথি ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ৫৬টি কেন্দ্রের ৫৫বছরের উপরের ৪৮হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাঝে করোনা টিকা প্রদান করা হবে।
সরেজমিনে বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে দেখা যায়, সরকারের উদ্যোগে সিনোফার্মার ভ্যাকসিন নিতে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ যারা ৫৫বছরের উর্ধ্বে তাদের ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা প্রদান করেন।
টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানান,সম্পূর্ণ সরকারের উদ্যোগে কক্সবাজারে আশ্রিত ৪৬হাজার রোহিঙ্গাদের মাঝে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকাদান কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাগুলো টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিয়েছে। মোট ৫৬টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনার সংক্রমণে স্থানীয়রা যাতে আক্রান্ত না হয় সে কারণে টিকা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন জানান,সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে আরআরআরসি ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের বাস্তবায়নে ৫৬টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায়
টিকা সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চ মহলের সাথে আলাপ আলোচনা করা হবে এবং বাকী রোহিঙ্গাদের মাঝে টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
টিকা নেওয়ার পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বিভিন্ন ক্যাম্পের ৫৫বছরের নিচের রোহিঙ্গারা টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানান।
টিকা প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে ইউএনএইচসিআর,ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, এপিবিএন অধিনায়ক ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।