ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৯টি পরিবারের ১৯ জমজ শিশুকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত ৮ আগস্ট প্রকৌশলী আবদুল্লাহ, কবির মাহমুদসহ ১৯ জমজ শিশুর অভিভাবক ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিট প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছিলেন তাদের মধ্যে ১৯ জমজ শিশু ছিল। এদের মধ্যে একজন করে লটারিতে ভর্তি হয়েছিল, আরেকজন করে ভর্তি হতে পারেনি। জমজ সহোদরদের যেন ভর্তি নেওয়া হয় এজন্য ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের এই নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ১৯ জন অভিভাবকের পক্ষে রিট করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জমজ বাচ্চাদের সুস্থ মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য একসঙ্গে থাকাটা খুবই জরুরি। তাদের  চাওয়া-পাওয়া প্রায় একইরকম। আমার নিজেরও জমজ বাচ্চা আছে। আমি দেখেছি, তাদের যদি আলাদা কিছু দেওয়া হয় বা আলাদা পরিবেশে রাখা হয়, তারা এক ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগে। খারাপ প্রভাব পড়ে তাদের ওপর। শুনানিতে এ বিষয়টি তুলে ধরা হলে আদালত সন্তুষ্ট হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *