আবুল কালাম আজাদ, টেকনাফ: স্বাধীনতার ৫০ বছররেরও সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে কোন ইউনিয়ন অতি বৃষ্টি ও প্রবল বর্ষনে চলতি বছরের ন্যায় প্লাবিত হতে দেখা যায়নি। মূলত পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসিনতার কারণে নির্মানাধীন সীমান্ত সড়কে পানির নিষ্কাশনের স্লুইসগেট বন্ধ করে দেওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বন্যা কবলিত এলাকার প্রবীণ লোকজনদের।

টেকনাফ উপজেলা বন্যা কবলিত এলাকার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, সাবরাং ও পৌরসভা পরিদর্শনে দেখা যায় শত শত ঘর-বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্টান, মুজিব বর্ষের উপহার দেওয়া ঘর-বাড়ি চিংড়ী ঘের, লবণ ক্ষেত ও ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। ইদানিং বৃষ্টির মাত্রা কমে গেলেও এখনো পর্যন্ত উল্লেখিত এলাকা সমূহের ৫০ শতাংশ ঘর-বাড়ী পানির বন্ধী রয়েছে। এ সমস্ত এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায় নাফ নদীর প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য অসংখ্য
স্লুইস গেট, কালভার্ড ও সেতু ছিল ইতি পূর্বে। কিন্তু গত ২০২১ সাল হতে পাবর্ত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যং ছড়ি উপজেলার ঘুনধুম হতে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মান হয়ে আসছে, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ সীমান্ত সড়ক নির্মাণে পূর্বে বেড়িবাঁধের ন্যায় স্লুইস গেইট, কালভার্ট ও সেতু নির্মানের কথা উল্লেখ থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন নির্মান কাজের সময় তদারকি না থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ঠিকাদার কোন কালভার্ট স্লুইসগেট ও সেতু না রেখে সীমান্ত সড়কের নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে পানি চলমান বর্ষা মৌসুমে অতি বর্ষনে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে দিনের পর দিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানি বন্ধী লোকজনদের দুঃখ দুর্দশা যেমনি চরমে গিয়ে পৌঁছেছে তেমনি উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পানিবন্ধি লোকজন দেরকে সরিয়ে নিতে হিমসিম খাচ্ছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, শুনেছি ইতি পূর্বে টেকনাফে উপজেলায় বৃষ্টি ও বর্ষনে এত গুলো গ্রাম প্লাবিত হয় নি। এলাকার লোকজন জানান সীমান্ত সড়কে স্লুইসগেট পানি নিষ্কাশন বন্ধের থাকায় এলাকার লোকজন পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের নিকট বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাথে এ বিষয়ে বার বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *