সদর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে সাতদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয় পহেলা জুলাই সকাল ৬ টা থেকে ৭ জুলাই সকাল ৬টা পর্যান্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
কক্সবাজার জেলায় লকডাউনের আজ সপ্তম দিন ৭ জুলাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মোট ১৭২ জনকে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্টে ১৬১ জনকে ৩০ মামলায় দন্ড দেয়া হয়েছে, তবে কাউকে কারাদন্ড দেয়া হয় নি।
এই তথ্য নিশ্চিত কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে। প্রতিদিনই মৃত্যু ও সংক্রমণের হার বারছে।কঠোর বিধিনিষেধের লকডাউনের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই বিধিনিষেধের এই মেয়াদ শেষ হবে ১৪ জুলাই।
লকডাউনের শুরু থেকেই বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রেফতার ও জরিমানা করছেন। এ ছাড়া জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইন—শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে দিচ্ছেন। কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিনেও বেশ সক্রিয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন এলাকায় মোড়ে মোড়ে আছে পুলিশের চেকপোস্ট। বিভিন্ন চেকপোস্টে জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের সচেতনতার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা ও মামলা দিচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে বিধিনিষেধ না মানার প্রবণতা দেখা গেছে অনেক মানুষের মধ্যে। অনেকেই ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার মুখোমুখি হচ্ছেন। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।