নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারে প্রথম বারের মত পটল চাষে সফলতার স্বপ্ন বুনছেন রহমত উল্লাহ নামের এক কৃষক। কক্সবাজার পিএমখালি মাইজপাড়া এলাকায় পিকেএসএফ এর অর্থায়নে আইডিএফের সহযোগিতায় প্রথম বারের মত চাষ হচ্ছে পটল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক রহমত উল্লাহ বাজারজাত করণের জন্য পটল উত্তোলন করছেন।

এই সময় কথা হয় কৃষক রহমত উল্লাহর সাথে। তিনি বলেন, সফলতার গল্প। আইডিএফের সহযোগিতায় প্রথম বারের মত ৩০ শতক জমিতে তিনি পটল চাষ শুরু করেন। বর্তমানে পটল উত্তোলন করে তিনি বাজারজাত করছেন। এখন বাজারে পটল না থাকায় তিনি বেশ ভালো দামেই পটল বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি পটল ৭০-৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। উচ্চ দামে পটল বিক্রি করতে পেরে কৃষক রহমত উল্লাহর মুখে হাসি, ৩০ শতক জমিতে পটল চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার টাকা, বর্তমানে তিনি পটল বিক্রি করে পেয়েছেন ২৮ হাজার টাকা মত,সামনে আরও ৩০-৩৫ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছেন কৃষক রহমত উল্লাহ। মাচার উপর পটল চাষের পাশাপাশি মাচার নিচে চাষ হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া,এতে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষক। পটল বিক্রির পাশাপাশি, পটলের চারাও তৈরি করছেন কৃষক রহমত উল্লাহ। এসব চারা ২০-৩০ টাকা ধরে বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে কথা হয় আইডিএফ কক্সবাজার শাখায় নিয়োজিত সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোছাইন এর সাথে।
তিনি বলেন, পর্যটন শহর কক্সবাজারে প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নে আইডিএফের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কক্সবাজারে এর আগে পটল চাষ কেউ করত না। প্রথম বারের মত আমরা আইডিএফের পক্ষ কৃষক রহমত উল্লাহর মাধ্যমে পটল চাষ শুরু করি। গ্রীষ্ম মৌসুমে যেহেতু বাজারে সবজি সরবরাহ কমে আসে। কৃষক এবং ভোক্তাদের চাহিদার কথা চিন্তা করে আমরা পটল চাষের কথা চিন্তা করি। যেহেতু পটল কক্সবাজারে চাষ না হওয়ার কারণে বাহিরের জেলাগুলো থেকে আমদানি করা হত। আমরা চেয়েছি কিভাবে পটল উৎপাদন কক্সবাজার করা যায়, কিভাবে এই সুযোগটি কৃষকদের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়,এই উপলক্ষে আইডিএফের পক্ষ থেকে আমরা প্রথম বারের মত রহমত উল্লাহর মাধ্যমে পটল চাষ শুরু করি। এতে তিনি সফলও হয়েছেন। তার সফলতা দেখে পাশের কৃষকেরাও আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশাকরি ভবিষ্যতে পটল চাষ কক্সবাজারে বৃদ্ধি পাবে।

আইডিএফ কৃষি উন্নয়ন বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা আজমারুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পটল চাষের প্রযুক্তি আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাতে কলমে শিখিয়েছি। সার্বক্ষনিক মনিটরিংয়ে রাখি, যেন তারা পটল চাষে সফল হতে পারে এবং অর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে। সামনেও এটি অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা আজমারুল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *